প্রকাশিত: ১৬/০৫/২০১৭ ৬:৫২ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৬:০৯ পিএম

সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া নিউজ ডটকম::

উখিয়ার বাজারে প্রায় শতাধিক লাইব্রেরীতে চলছে অঅনুমোদিত সহায়ক বইয়ের জমজমাট বাণিজ্য। সম্পূর্ণ অবৈধ উপায়ে মুদ্রিত অসংখ্য ভুলে ভরা এসব গাইড ও নোট বই পড়ে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হচ্ছে অন্যদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অভিভাবক মহল। গত বছর উখিয়া থানা পুলিশ অবৈধ নোট ও গাইড বই উদ্ধারে লাইব্রেরী গুলোতে নামকা ওয়াস্তে তল-াসী অভিযান চালালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে মৌসুমী বই ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, প্রতি বছর প্রাথমিক নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পরই কতিপয় মৌসুমী বই ব্যবসায়ী লাইব্রেরীর আড়ালে সরকার অঅনুমোদিত অবৈধ গাইড ও নোট বই বিক্রি করে টুপাইস ইনকাম করে থাকে। দেশের কতিপয় অখ্যাত প্রকাশনা ও মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকাশিত ও ছাপানো ভুলে ভরা পাঠ্যবই পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য দেন দরবার শুরু করে। তাদের নিয়োগকৃত প্রতিনিধিরা উপজেলা সদরে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে গিয়ে কে.জি. থেকে শুরু করে নিু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন উপঢৌকন ও মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে। ফলে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সুবিধা ভোগ করে প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা ছাত্র-ছাত্রীদের এসব ভুলে ভরা অখ্যাত কোম্পানীর প্রকাশিত বইগুলো ক্রয়ের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ সৃষ্টি করে থাকে। এমনকি শিক্ষকেরা কোন লাইব্রেরী থেকে বই কিনতে হবে তাও সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার সুবাধে ছাত্র-ছাত্রীদের এক একটি নোট ও গাইড বই অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয় করতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চলতি বছরে রচনা বই পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সরবরাহ দিলেও গ্রামার ও ব্যাকরণ বই সংযুক্ত করেনি। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য হয়ে গ্রামার ও ব্যাকরণ ক্রয়ের পাশাপাশি শিক্ষকদের নির্দেশ অনুযায়ী নোট ও গাইড বই ক্রয় করতে হচ্ছে। এ সুযোগের সৎ ব্যবহার করে দেশের কতিপয় অখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অসংখ্য ভুলে ভরা গ্রামার, ব্যাকরণ, নোট ও গাইড বই বাজারে ছেড়েছে। উচ্চ মূল্যের এসব বই কিনতে গিয়ে অভিভাবকদের দূর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। হাট বাজারে মৌসূমী বই ব্যবসায়ীদের রমরমা বই বাণিজ্যের খপ্পরে পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহল। কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান জানালেন, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার সুবিধার্থে গাইড বই ক্রয় করতে পারে। শিক্ষক কর্তৃক বইয়ের তালিকা প্রদান করা হয় কিনা প্রতি উত্তরে তিনি বলেন, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের বই গুলো ক্রয়ের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রভাবিত করা হয়ে থাকে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রায়হানুল ইসলাম মিয়া জানান, অবৈধ নোট ও গাইড বই বিক্রি সরকারীভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কোন নির্দেশনা না আসার ফলে এসব নোট ও গাইড বই বাজারে ওপেন সিক্রেট বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারের সাবেক বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারি মোটরযান পরিদর্শক (বর্তমানে বান্দরবানে কর্মরত) ...